মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম ২০২৪
প্রিয় পাঠক আপনি কি মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম ২০২৪ সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলটিতে আমরা আলোচনা করেছি মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম ২০২৪ এবং ট্রেনের টিকিট কাটার অ্যাপস সম্পর্কে। আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়লে জানতে পারবেন মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত।
বর্তমানে রাস্তায় প্রচুর জ্যাম থাকার ফলে স্টেশনে যেতে দেরি হয় বা স্টেশনে যাওয়ার পরে ট্রেনের টিকিট আর পাওয়া যায় না। তাই আপনাদের সুবিধার্থে মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম, মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম ২০২৪ ও ট্রেনের টিকিট কাটার অ্যাপস এবং বিকাশে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দিব। আপনি যদি মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম ২০২৪ ও অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম এবং ট্রেনের টিকিট কাটার অ্যাপস সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পুরো আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন।
পেজ সূচিপত্রঃ
ভূমিকা
আপনারা অনেকেই জানেন না মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম ২০২৪ সম্পর্কে এবং কিভাবে নতুন নিয়মে ট্রেনের টিকিট কাটবে সে সম্পর্কে জানেন না। আমরা অনেকে বাসের চাইতে ট্রেনে ভ্রমণ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। তাই এই আর্টিকেলটিতে আলোচনা করা হয়েছে আপনি মোবাইলের মাধ্যমে কিভাবে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটবেন।
আরো পড়ুনঃ ফিডমিল উৎপাদন কর্মকর্তা পদে নিয়োগ ২০২৪
আবার অনেকে ফোন থেকে টিকিট কাটতে পারেন না তাই আর্টিকেলটিতে আরো আলোচনা করা হয়েছে কিভাবে আপনি কাউন্টারে গিয়ে টিকিট কাটবেন। আবার অনেকেই ট্রেনে ভ্রমণ করার জন্য কিছুদিন আগে টিকিট কেটে থাকেন।
তাই এই আর্টিকেলটিতে আরো আলোচনা করা হয়েছে নতুন পদ্ধতিতে অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কে। আর্টিকেলের নিচে আলোচনা করা হয়েছে মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম ২০২৪ সম্পর্কে।
মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
আপনার হাতে থাকা মোবাইল থেকেই অনলাইনে থেকে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করা যায়। জানুন মোবাইলে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম। আপনার হাতে থাকা মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটতে পারবেন। এখানে আমি মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম ছবিসহ বিস্তারিত শেয়ার করব।
এই আর্টিকেল থেকে যে কেউ এখন নিজে নিজে ট্রেন টিকেট বুকিং করতে পারবে। মোবাইলের ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য আপনার মোবাইলের গুগল প্লে স্টোর থেকে রেল সেবা অ্যাপটি ডাউনলোড করুন। এবার আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য ও পাসওয়ার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করুন।
অ্যাকাউন্টে লগইন করে স্টেশন, টিকিটের ক্লাস ও তারিখ দিয়ে ট্রেন সার্চ করু। সবশেষে সিট বুকিং ও পেমেন্ট করে টিকিট ক্রয় করুন।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
বর্তমানে ট্রেনের টিকিট অনলাইন হতে ক্রয় করা যায়। আপনারা যারা জানেন না কিভাবে অনলাইনে ট্রেনের টিকেট সংগ্রহ করতে হয়, তাদের জন্য বিস্তারিত ও ছবিসহ দেখাব বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করার নিয়ম। আপনি নিজেই আপনার মোবাইল থেকে বিকাশের সাহায্যে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কিনতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নি অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে মোবাইল নম্বর, NID, জন্ম তারিখ ইমেইল ঠিকানা দিয়ে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করুন। এরপর আপনার স্টেশন ও গন্তব্য অনুযায়ী নির্দিষ্ট তারিখের ট্রেন সার্চ করুন। সবশেষে আসন বাছাই করে অনলাইনে পেমেন্ট করে টিকিট বুকিং কনফার্ম করুন।
ধাপ 0১: NID ভেরিফাই করুন
আপনার মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার থেকে গুগল ক্রোম (Chrome) ব্রাউজার থেকে ভিজিট করুন এই ওয়েবসাইটে- Bangladesh Railway E-Ticketing Service অথবা ডাউনলোড করুন Rail Sheba App.
প্রথমেই আপনাকে বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইটে আপনার NID নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে ID ভেরিফিকেশন করতে হবে এবং Register ক্লিক করুন।
আপনার মোবাইল নম্বর, NID নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে Verify-এ ক্লিক করুন।
আপনার আইডি ভেরিফাই শেষে একটি Password সেট করুন। আপনার Email, Post Code ও ঠিকানা ইংরেজিতে লিখে Registration বাটনে ক্লিক করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন।
আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র এখনো হাতে না পেলে, অনলাইন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে পারেন। সব তথ্য অবশ্যই ইংরেজিতে লিখবেন।
ধাপ 0২: মোবাইল ভেরিফাই করুন
এখন আপনার মোবাইলে 6 ডিজিটে একটি Verification Code পাঠানো হবে এবং Code টি দিয়ে Verify করতে আপনার মোবাইলে আসা Code টি 45 সেকেন্ডের মধ্যে সঠিকভাবে লিখে Continue বাটনে ক্লিক করুন।
আপনার একাউন্টটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাকাউন্টটি Log In হবে। লগইন হওয়ার পর Disclaimer এর শর্ত মেনে I AGREE করুন।
ধাপ ০৩: ট্রেন সার্চ করুন
আপনি কোন স্টেশন থেকে রওনা হবেন আর কোন স্টেশনে নামবেন সেই অনুসারে ট্রেন সার্চ করুন।From–আপনি যে স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠবেন তা লিখুন এবং TO- তে আপনি যে স্টেশনে নামবেন তা লিখুন। পরবর্তীতে Date of Journey থেকে আপনার ভ্রমণের তারিখ বাছাই করুন।
Choose Class – এর স্থানে উপরের মত অপশনগুলো পূরণ করে হলুদ রংয়ের Find বাটনে ক্লিক করুন। অতঃপর আপনার বাছাই করা তারিখের সকল ট্রেনের লিস্ট দেখতে পাবেন।
এখান থেকে ট্রেন ছাড়ার সময় অনুযায়ী আপনার পছন্দ মত ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য সিলেক্ট করুন।
ধাপ ০৪: ট্রেন ও সিট বাছাই করুন
আপনার যাত্রার সময় ও আসনের ধরণ অনুসারে পছন্দমত ট্রেন ও সিট বাছাই করুন। এজন্য আপনার পছন্দের ট্রেনের আসন খালি থাকা তবে (Seats Available থাকলে) View Seats বাটনে ক্লিক করে সিট বুকিং করুন।
শিশুদের টিকেটের মূল্য পরের ধাপে সমন্বয় করা হবে। এরপর CONTINUE PURCHASE বাটনে ক্লিক করে পরের ধাপে যান।
ধাপ ০৫: যাত্রীর তথ্য দিন
ধাপ ০৪ যতগুলো সিট বুক করেছেন, তাদের নাম এবং শিশু বা বয়স্ক কিনা তা সিলেক্ট করতে হবে।
৩ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশু থাকলে Passanger Type Child সিলেক্ট করতে হবে। Child সিলেক্ট করলে তার ভাড়া স্বয়ংক্রীয়ভাবে সমন্বয় হবে বা কমে যাবে।
ধাপ ০৬: টিকিটের মূল্য পরিশোধ করুন
এ ধাপে টিকিটের মোট ভাড়ার পরিমাণ, ভ্যাট, ব্যাংক চার্জ ও মোট খরচের পরিমাণ দেখানো হবে। টিকেটের মূল্য পরিশোধ করার জন্য Mobile Banking (bKash) অথবা Debit/Credit Card অপশন বাছাই করুন।
এরপর Confirm Purchase বাটনে ক্লিক করে পেমেন্ট সম্পন্ন করুন।
ধাপ ৭: ট্রেনের টিকিট ডাউনলোড ও প্রিন্ট করুন
সফলভাবে পেমেন্ট করার সাথে সাথেই Bangladesh Railway E Train Ticket System থেকে ই টিকিট ইস্যু করা হবে। টিকিটটি আপনার মোবাইলের ক্রোম ব্রাউজার থেকে ডাউনলোড করা হয়ে যাবে। আপনার প্রোফাইলের Purchase History থেকেও টিকিট ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
তাছাড়া, টিকিটের একটি কপি আপনার ইমেইলেও পাঠানো হবে। ইমেইলের Inbox এ না পাওয়া গেলে SPAM Folder চেক করতে পারেন। টিকিটটি A4 সাইজের কাগজে প্রিন্ট করে নিন।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটবো কিভাবে?
আমরা মূলত আরাম প্রিয় মানুষ হিসেবে পরিচিত আপনি যা করবেন আপনার হাতেরই স্মার্টফোনটিতে Crome ব্রাউজারে গিয়ে E Ticket লিখে Search দেবেন। অতঃপর একটি পেজ লোড হবে, এখান থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে লেখা ওয়েবসাইটে ক্লিক করবেন। এখানে যে পেজটির শো করবে, সেটিতে আপনাকে একটি ফরম পূরণ করার জন্য বলবে।
আরো পড়ুনঃ
ফর্ম এর From এর স্থানে আপনি যেখান থেকে ট্রেনে উঠবেন সেই স্থানের ট্রেন স্টেশনের নাম হবে। Chooge A Class এ আপনার প্রয়োজনীয় সুবিধা অনুযায়ী সিট সিলেট করে Search Train অপশনে ক্লিক করবেন এবং ট্রেন লিস্ট দেখে আপনার প্রয়োজনীয় সময়ে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করবেন।
ট্রেনের টিকিট কাটার অ্যাপস
ট্রেনের টিকিট কাটার অ্যাপস এর নাম হচ্ছে রেল সেবা। নতুন অ্যাপস উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী । বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট পার্টনার। আপনারা রেলওয়ে ই টিকিট ওয়েবসাইটের পাশাপাশি রেলসেবা অ্যাপ ব্যবহার করে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন।
ব্যবস্থাপ জানিয়েছেন নতুন রেল সেবা অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে। টিকিট কাটার জন্য যাত্রীদের অ্যাপ ডাউনলোড করে নিজের নাম, মোবাইল নাম্বার, ইমেইল এড্রেস, জাতীয় পরিচয় পত্র এবং জন্ম নিবন্ধন নম্বর এর তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেল সেবা অ্যাপ ব্যবহার করে টিকিট কাটার জন্য যাত্রীকে তাপছন্দ অনুযায়ী যাত্রা শুরু স্টেশন, এর ক্লাস সিলেক্ত করতে হবে।
একই সঙ্গে ট্রেন ডিটেলস থেকে সহজে ট্রেনের বিস্তারিত তথ্য দেখা যাবে এবং এ টিকিট অ্যাপ থেকে নিজের সুবিধামত ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। আপনি যদি অ্যাপস ছাড়া অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম জানতে চান তাহলে ওপরের পর্ব টি পুনরায় পড়ে আসুন
কাউন্টারে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
নতুন এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে ট্রেনের শতভাগ টিকিট বিক্রি করা হবে। যার ৫০ শতাংশ কাউন্টার ও ৫০ শতাংশ অনলাইনে বিক্রয় করা হচ্ছে। কাউন্টারে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে এ নির্দেশনা জারি করা হয় যে সঠিক নিয়ম অনুযায়ী ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে।
তবে ট্রেনের টিকেট ক্রয় করার সিস্টেম হচ্ছে ট্রেনের সময় থেকে ৪৮ ঘন্টা পূর্বে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করা এবং ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে। যেসব আন্তঃনগর ট্রেন চলবে-সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর গোধূলি তূর্ণা, মহানগর প্রভাতী/তূর্ণা, তিস্তা এক্সপ্রেস, যমুনা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, উপকুল এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস ইত্যাদি।
এছাড়াও জয়ন্তিকা/উপবন এক্সপ্রেস, মেঘনা এক্সপ্রেস, অগ্নিবীনা এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা/উপবন এক্সপ্রেস, পাহাড়িকা/উদয়ন এক্সপ্রেস, সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, বিজয় এক্সপ্রেস, পাহাড়িকা/উদয়ন এক্সপ্রেস, হাওড় এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, দ্রুতযান এক্সপ্রেস, বনলতা এক্সপ্রেস, পদ্মা এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস ইত্যাদি।
এরকম অনেক আছে যেমন নীলসাগর এক্সপ্রেস, রূপসা এক্সপ্রেস, মধুমতি এক্সপ্রেস, তিতুমির এক্সপ্রেস, সাগরদাড়ী এক্সপ্রেস, ঢালারচর এক্সপ্রেস, টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস, বরেন্দ্র এক্সপ্রেস, সীমান্ত এক্সপ্রেস, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস ও পঞ্চগড় এক্সপ্রেস।
ট্রেনে কত বছরের বাচ্চা ফ্রি যাতায়াত করতে পারবে
2020 সালে মার্চের একটি বিজ্ঞপ্তিতে রেল মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয় ৫ বছরের কম বয়সের বাচ্চারা ট্রেনে বিনামূল্যে ভ্রমণ করতে পারবে যদি পাঁচ বছরের কম বয়সী বাচ্চার জন্য একটি সিট এর প্রয়োজন হয় তাহলে একজন প্রাপ্তবয়স্কদের সমান টাকা/ভাড়া প্রদান করতে হবে। বিভিন্ন মিডিয়ায় বিভিন্ন কথা বলা হয়েছে।
আরো বলে রেল আর গরীব মানুষের জন্য না, এখন মানুষ বিজেপির টিকিট কেটে নেবে এছাড়াও বিভিন্ন পাড়ায় পাঁচ বছরের বাচ্চার টিকিট লাগবে শুনে কোলাহল সৃষ্টি হয়েছিল। যদিও রেল মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল সিট বুক করলে শুধুমাত্র মূল্য প্রদান করতে হবে। তাছাড়া, পাঁচ বছরের নিচে বাচ্চাদের কোন প্রকার ভাড়া না দিয়ে চলাচল করতে পারবে।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার সময়অনেকে জানতে চেয়েছেন যে অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার সময় এবং কত দিন আগে ট্রেনের টিকেট কাটা যায়। আপনি ট্রেনে ভ্রমন করতে চাইলে স্টেশনে গিয়ে টিকেট কাটার জন্য আর লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। বর্তমানে মোবাইল থেকে ট্রেনের টিকিট কাটার অ্যাপস রয়েছে যার মাধ্যমে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন।
এছাড়াও আপনার হাতে যদি যথেষ্ট সময় থাকে তাহলে স্টেশনে গিয়ে কাউন্টারে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে পারবেন। অনেকে মনে করেন অনলাইনে ট্রেনের টিকেট রাত দিন ২৪ ঘন্টা কাটা যায় কিন্তু বিষয়টা আসলে তা না। অনলাইনে ট্রেনের টিকিট অগ্রিম কাটতে পারবেন সকাল ৮ টা থেকে রাত ১১ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
আপনাকে এই নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে অনলাইন থেকে ট্রেনের টিকিট কাটতে হবে। অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, রাত ১২ টা থেকে সকাল ৭ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটা যাবে না। আর আপনি যদি মনে করেন স্টেশনে গিয়ে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটবেন তাহলে যেকোনো সময় স্টেশন থেকে অগ্রিম টিকিট কাটতে পারবেন।
বিকাশে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম
সবসময়ই ট্রেনের টিকিট পাওয়া অত্যন্ত কষ্টকর। এছাড়া ঈদের সময়তো এ সমস্যা অত্যন্ত প্রকট হয়ে যায়। অনেক লম্বা লাইনে দাড়িয়েও শেষ পর্যন্ত আপনি হয়তো টিকিট পাবেন কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায় না। তাই, আপনি ঘরে বসেই খুব সহজে আপনার হাতের এন্ড্রয়েড মোবাইল টি ব্যবহার করে ট্রেনের টিকেট বুকিং করতে পারেন।
বিকাশের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে নাম, ইমেইল ও মোবাইল নম্বর দিয়ে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করুন এবং প্রোফাইলের তথ্য আপডেট করুন। From Station, To Station ও তারিখ দিয়ে ট্রেন সার্চ করুন। সর্বশেষে সিট বাছাই করে বিকাশে পেমেন্ট করুন এবং টিকিট বুকিং কনফার্ম করুন।
ট্রেনের টিকিট ক্রয়
ট্রেনের টিকেট কেনার জন্যে ‘রেলসেবা’ নামে বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি অ্যাপ আছে। এখান থেকে খুব সহজেই ট্রেনের টিকেট কেনা যাই, বাংলাদেশ রেলওয়ের ই-সেবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও ট্রেনের টিকেট ক্রয় করা যায়, এছাড়াও আরেকটি অপশন হচ্ছে বিকাশ।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নতুন নিয়ম
ইতি মধ্যেই আমরা উপরে আলোচনা করেছি অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম আর এখন আলোচনা করা হবে ট্রেনের টিকিট কাটার নতুন নিয়ম সম্পর্কে। যেভাবে নতুন নিয়মে কাটবেন অনলাইনে ট্রেনের টিকিট সেই বিষয়ে আমরা আপনাকে পূর্বের ধাপে বলে দিয়েছি তবুও এখন আবারো নতুন ভাবে আপনাদের মাঝে আলোচনা করব।
রেজিস্ট্রেশন শেষ হওয়ার পর আপনারা টিকিট কাটতে পারবেন। এ জন্য তাকে প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে ব্রাউজ করতে হবে। সেখানে থাকা লগ ইন প্যানেলে ই-মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি কোড পূরণ করতে হবে। পরবর্তী যে পেজ আসবে তাতে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে।
এখানে আপনাকে পূরণ করতে হবে আপনি কোন তারিখের টিকিট কাটতে চান, কোন স্টেশন থেকে কোন স্টেশন পর্যন্ত, ট্রেনের নাম, শ্রেণি, টিকেট সংখ্যা ইত্যাদি। পরবর্তী পেজে Registration Seat Available কি না এবং টিকিটের দাম। সেখানে সবকিছু ঠিক থাকলে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ক্রেডিট কার্ড, ক্যাশ কার্ড কিংবা ব্রাক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট দিয়ে টিকিটের দাম পরিশোধ করতে পারবেন আপনি।
পরে আপনার ই-মেইলে ই-টিকেটটি পাঠিয়ে দেবে বাংলাদেশ রেলওয়েল। এরপর সেই টিকিট প্রিন্ট দিয়ে ফটো আইডিসহ ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। কিংবা ই-টিকেট প্রদত্ত Ticket Print Information দিয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেশন থেকে যাত্রার পূর্বে ছাপানো টিকেটও সংগ্রহ করতে পারবেন।
নতুন পদ্ধতিতে অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার নিয়ম
বর্তমান নতুন নিয়ম অনুযায়ী ট্রেনে ভ্রমণ করতে হলে প্রতিটা যাত্রীর এনআইডি ভেরিফাই করে টিকেট ক্রয় করতে হবে। আর আগের নিয়ম বাতিল করে এখন ট্রেনের শতভাগ টিকিটই অনলাইনে পাওয়া যায়। তাই কিভাবে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটবেন সেই বিষয়ে ধাপে ধাপে ছবিসহ আলোচনা করা হয়েছে।
ট্রেনের টিকিট কাটতে কি কি লাগে
ট্রেনের টিকিট কাটতে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন এবং একটি মোবাইল নম্বর লাগে। অন্য কারো জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে টিকিট ক্রয় করা যাবে না।
রেল কর্তৃপক্ষ জানান, "জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ যাচাইয়ের মাধ্যমে আন্তনগর ট্রেনের টিকিট কাটতে হবে। রেলের কর্মকর্তারা পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) মেশিনের মাধ্যমে টিকিট যাচাই করবেন।কেউ অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে টিকিট কেটে ভ্রমণ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
শেষ কথাঃ মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম ২০২৪
ইতিমধ্যেই আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ে জেনেছেন মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম ২০২৪ এবং কিভাবে ট্রেনের টিকেট সহজে কাটা যায় এ সম্পর্কে । যদি আপনি এখনো মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম ২০২৪ এবং ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য কি কি লাগে সে বিষয়ে না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি পুনরায় মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আমি আশা করি আপনি সম্পূর্ণভাবে উপকৃত হবেন।
আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সাথে শেয়ার করুন যাতে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটা থেকে অনলাইনে অতি দ্রুত টিকিট কাটতে পারে এবং এই বিষয়ে অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারে। আপনার মূল্যবান মতামতটি এবং আপনি উপকৃত হয়েছেন কি না কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আমাদেরকে জানান। পরিশেষে আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শেষ করছি ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url