মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো

আপনার জন্য। এই আর্টিকেলটিতে আমরা আলোচনা করেছি মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো এবং মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে। আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়লে জানতে পারবেন মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো
যদি আপনি মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো খোঁজ করে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। বর্তমানে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো খোঁজার জন্য অনেক ওয়েবসাইট আছে যেখান থেকে আপনি সম্পূর্ণভাবে জানতে না পারলেও আমি এখানে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি এবং আশা করি আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন।
পেজ সূচিপত্রঃ

    ভূমিকা

    আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে আপনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকি। প্রয়োজন ছাড়া আমরা বিভিন্ন সময় অতিরিক্ত ফোন ব্যবহারে আসক্ত হয়ে পড়ি। যে আসক্তির কারণে আমাদের শারিকা মানসিক এবং বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হয়।
    সেই উদ্দেশ্যে আমরা আজকে এমনি আর্টিকেল থেকে আলোচনা করব মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায়, ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা, মোবাইল ফোনের অপকারিতা নিয়ে একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতা। মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুফল ও কুফল, শিক্ষা ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের অপকারিতা সহ আরো অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। উক্ত বিষয়গুলো সম্পন্ন বিস্তারিত জেনে নি।

    মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায়

    প্রিয় পাঠক আমি আপনাদের আলোচনা করব মোবাইল ফোনে ক্ষতিক থেকে বাঁচার উপায় নিয়ে। মোবাইল ফোন কিভাবে আমাদের ক্ষতি করছে সে বিষয়ে জেনে নি। যেহেতু মোবাইল ফোন আমাদের জীবনের সাথে বিভিন্ন কাজে মোবাইল ফোনে ব্যবহার করি এমনি সেহেতু অবশ্যই মোবাইল ফোনের ব্যবহার এবং এরা ভালো খারাপ দিকগুলো আমাদের বিস্তারিত ভাবে জানা।

    মোবাইল ফোনে কথা বলার জন্য আমরা কল রিসিভ করে এমএ যতটা সম্ভব ফোন কানের কাছাকাছি রাখি। কথা বলার ক্ষেত্রে সম্ভব হলে ইয়ারফোন ব্যবহার করতে হবে এতে করে এমনি রেডিয়েশন থেকে অনেকটা দূরে থাকা সম্ভব। মোবাইলে কথা বলার সময় হাটাহাটি করা বন্ধ করে দিন কারণ দুর্বল নেটওয়ার্কের রেডিয়েশনে অনেক বেশি নির্গত হয়।
    মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো
    যত সম্ভব এ সময় কথা সংক্ষিপ্ত করার চেষ্টা করুন। গাড়িতে থাকা অবস্থায় কথা বলার সীমিত করবেন না কেননা আমরা গাড়িতে থাকার রেডিয়েশন শিল্ড মোবাইলের রেডিয়েশনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়। সময় মতো জেগে ওঠার ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন নাই বরং ঘড়িতে এমএলআর ব্যবহার করে ঘুম থেকে উঠুন।

    অন্ধকারে মোবাইল স্ক্রিনে শুধুমাত্র চোখের ক্ষতি করে না এছাড়া ঘুমের জন্য প্রয়োজন হরমোনের নিঃসরণ বাধা সৃষ্টি করে। সুতরাং রাতে ঘুমানোর কমপক্ষে দুই ঘন্টা আগে মোবাইল ব্যবহার করুন। স্মার্টফোনের বিভিন্ন সার্ভিস যেমন wi-fi, bluetooth, gps and internet ইত্যাদি সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখুন।

    কেননা এগুলো রেডিয়েশন দীর্ঘ সময় ধরে শারীরিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। ঘুমানোর ঘরে রাউটার ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন। ফলশ্রুত মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার থেকে যত দূরে সম্ভব বাড়ি তৈরি করবেন।

    ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা

    আপনি একজন ছাত্র হিসেবে আপনার মোবাইল ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক নয় বলে আমি মনে করি। কেননা আমরা অনলাইনে ক্লাস হলে তখনই মোবাইলে দরকার হবে এমনে তার জন্য আপনাকে এমনি ব্যবহার করার প্রয়োজন হবে না। এছাড়াও বা কখনো কখনো ই-বুক নিয়ে মোবাইলে পড়লে সেটাও ঠিক আছে তবে এমনি খুব বেশি সময় ধরে ব্যবহার করা একদম উচিত নয়।

    তুলনামূলকভাবে কিছু জিনিসে খেয়াল রাখা উচিত যেমন সে মোবাইলের অতিরিক্ত অপব্যবহার করছে কিনা কোন অনলাইন গেমসে আসুক তো মনে হচ্ছে কিনা সোশ্যাল সময় দিচ্ছে কি না এসব বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে সেই ছাত্রেরও পরিবারের সদস্যদের। কারণ অনেক সময় দেখা যায় এ ছাত্ররা সোশ্যাল মিডিয়া বেশি সময় দেওয়ার ফলে তার লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগ কমে আসে।
    ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা
    তবে খুব বেশি সময় ধরে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করলে এক প্রকার আসক্তি হয়। প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল হাতে নেওয়া প্রয়োজন নেই যার জন্য মোবাইল ফোন না ব্যবহার প্রয়োজন। তবে দুর্যোগ কালের সময়ে ক্লাসে অংশগ্রহণ করার জন্য স্মার্ট ফোন না জরুরী। সবথেকে ভয়ের ব্যাপার হচ্ছে কোন ছাত্র অনলাইন গেমসে আসুক তো কিনা আর সে বিষয়ে এমনি খেয়াল না রাখা।

    যারা ছাত্র থাকা অবস্থায় মোবাইল গেমসের সময় কাটানো উচিত নয় প্রয়োজনে মাঠে গিয়ে ফুটবল লাম্বা ক্রিকেটে খেলতে হবে। কোন ছাত্র যখন স্কুল ছুটির পরে বাড়ি আসবে তখন আর ফ্রেশ হয়ে মাঠে খেলতে যাওয়ার বদলে যদি মোবাইলে গেমস খেলে তাহলে এমনে শারীরিক এবং মানসিকভাবে এমনে বিকলাঙ্গ হতে পারে।

    এছাড়াও বিভিন্ন ক্ষতি করে থাকে যা আমাদের পার্থিব জীবনের জন্য অতি ভয়ানক কাল হয়ে যাবে। যেমন না পড়াশোনার ক্ষতি করে তেমনি চোখের ক্ষতি করে, চোখের ঘুম কেড়ে নেয়, সময়ই অপচয় বৃদ্ধি পায়, আর্থিক ক্ষতি করে, চিন্তাশক্তি কমে যায় এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

    মোবাইল ফোনের অপকারিতা বিতর্ক প্রতিযোগিতা

    ব্যাটারি লাইফ

    এখন স্মার্ট ফোনে কতদিন চলবে তার সম্পর্কের বিতর্ক করা হতে পারে তবে যদি নতুন প্রযুক্তি বা বিভিন্ন ব্যাটারি পরিচালনা পদ্ধতি নিয়ে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয় তাহলে হয়তো বা দীর্ঘদিন মেরামত করার ফলে দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। তবে স্মার্ট ফোনে ক্যামেরার গুণগত নিয়ে বিতর্ক করা হতে পারে যদি নতুন প্রযুক্তির সম্প্রদায় বা বিভিন্ন ক্যামেরা বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করা হয়।

    নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার

    স্মার্টফোনে নিরাপত্তা গোপনীয়তার বিষয়ে বিতর্ক করা যেতে পারে কেবলমাত্র যদি ফেস আইডেন্টিফিকেশন টাচ আইডি বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যান করে নিয়ে বিতর্ক প্রতিটা অংশগ্রহণ করা হয়। বিন্যাস নিয়ে বিতর্ক করা যেতে পারে যদি ফেস আইডেন্টিফিকেশন টাচ ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে প্রযুক্তির অগ্রগতি হয়ে থাকে।

    মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুফল ও কুফল

    উপকারিতা

    মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে সংযোগের স্থাপন করতে পারে যেমন কলিং এর সামাজিক যোগাযোগ করতে পারি যা আমাদের মানব জীবনের জন্য অতি প্রয়োজনীয়।সহজ অ্যাক্সেসঃ মোবাইল ফোন না সহজে বহন করা যায় এবং সাথে নেওয়া যায়যে কোন স্থানে ভ্রমন করার সময়।

    শিক্ষা ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের অপকারিতা

    মোবাইল ফোন আবিষ্কার মানব জীবনের জন্য সবচেয়ে বড় একটা সার্থকতা এবং আশীর্বাদ। মানব জীবনের জন্য যোগাযোগ খোঁজখবর বা দেশের বিভিন্ন অপ পরিস্থিতির খবর জানার জন্য একটি অতি স্বল্প সময়ের যোগাযোগ মাধ্যম। তবে শিক্ষা ক্ষেত্রে ইদানিং সেবা জটিল বিষয়গুলো সমাধান ঘরে বসে অনলাইনের বিদ্যালয়ের পাঠদান সম্পন্ন করা যায়।

    শিক্ষকের পেছনে পাঠদান নতুন করে দেখতে পাড়া ইত্যাদি সহজে করা যায় আমাদের জীবনের জন্য অল্প সময়ে অধিক পরিস্থিতির সমাধান করা যায়। শিক্ষা ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের অপকারিতা ছোট শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলে আমরা অনলাইনের এই নেটওয়ার্কিং এর মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছি যা আমাদের হুমকি স্বরূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    তবে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের উপকারের চেয়ে বেশি হচ্ছে অপকার যা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি হয় দাঁড়িয়েছে। শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোনে পড়াশুনা বিষয়ে প্রোগ্রাম যেমন শিক্ষামূলক। 

    কোথা থেকে জানি পরলাম কেউবা কেউ ফোন গেম খেলতে আসক্ত হয়ে পড়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি এমনি গেম খেলে কিংবা সারারাত জেগে গেম কে জুয়া খেলা হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।

    তবে কোন প্রশ্ন ও উত্তর প্রয়োজন হলে নিজেরা চেষ্টা না করেই অনলাইনে খোঁজাখুঁজি শুরু করে যার কারণে মেধা বিকশিত হয় না এবং কর্মজীবনে এসে শিক্ষার্থীকে কাজে লাগাতে না পেরে হতাশায় ভুগতে হয় শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করার পরেও।

    শেষ কথাঃ মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো

    ইতিমধ্যেই আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ে জেনেছেন মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো এবং মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে । যদি আপনি এখনো মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো এবং মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি পুনরায় মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
    এই আর্টিকেলটি আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সাথে শেয়ার করুন। আর্টিকেলটি পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত আমাদের কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানান। পরিশেষে আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শেষ করছি ধন্যবাদ।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url