পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়
প্রিয় পাঠক, আসসালামু আলাইকুম, আপনি কি পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলটিতে আমরা আলোচনা করেছি পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় এবংপা ফাটা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে। আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়লে জানতে পারবেন ঘরোয়া উপায় এবংপা ফাটা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত।
বর্তমান সময়ে মানুষের বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে তার মধ্যে একটি হলো পা ফাটা। আমি আর্টিকেলটিতে পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি। অমূলত ভিটামিন এবং পরিবেশের ভারসাম্যের কারণে পা ফেটে থাকে।
পেজ সূচিপত্রঃ
কার্যকারিতাঃ
কার্যকারিতাঃ
কার্যকারিতাঃ
ভূমিকা
আপনারা অনেকে জানেন না পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় এবংপা ফাটা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে। আমি এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য বিস্তারিত আলোচনা করব পা ফাটা থেকে মুক্তির উপায়, ক্রিমের নাম, সারা বছর পা ফাটে কেন, পা ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে ঔষধ, গরমে পা ফাটা দূর করার ক্রিম বাংলাদেশ, শীতে এবং আরো অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট
যদি আপনি এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আপনি ঘরোয়া উপায় এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানতে পারবেন। আর্টিকেলটা যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে সমস্ত বিষয়গুলো সূক্ষ্ম এবং সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বুঝতে এবং জানতে পারবেন।
পা ফাটা থেকে মুক্তির উপায়
শীতকাল আসার সাথে সাথেই পা ফাটার সমস্যা দেখা দিতে থাকে। তবে এর প্রধান কারণ হচ্ছে শুষ্কতা। শুষ্ক হাওয়ায় এই সমস্যা বাড়তে থাকে ফলে খোলাস সেন্ডেল এ ফাটা দেখিয়ে চলা লোক কটু হয়ে দাঁড়ায়। তাই ত্বকের বিশেষ বিশেষ যত্ন শীতের শুরু থেকেই নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় বিস্তারিত ভাবে আলোচনার মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পা ফাটা থেকে মুক্তি পেতে গোসলের সময় বিশেষ যত্ন নিতে হবে। গোসল করার সময় ধন দলের খোসা ও সাবান দিয়ে ভালো করে পা পরিষ্কার করে নিবেন। তবে পিউ মিস থাকলে তো অনেক ভালো হয়। চেষ্টা করবেন পায়ের গোড়ালি নরম রাখার প্রয়োজনে ওয়ালি জেল ক্রিম লাগিয়ে রাখবেন। তেল ব্যবহার করতে পারবেন তবে নারিকেল তো থাকেই তা পায়ের পাতা ও গোড়ালি মেসেজ করে নিতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ তেলাপিয়া মাছের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
ত্বক নরমের জন্য তিল তেল বা আমন্ড তেল ভালো। লাগাতে পারবেন যখন গোসলশেষ হওয়ার পর। আপনি যখন বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরে আসবেন তখন গরম পানি ও সাবান দিয়ে ভালো করে পা পরিষ্কার করে নিবেন। পানিতে ভেজা পা শুকনো তোয়ালে বা কাপড় দিয়ে চেপে পানি মুছে নিবেন। এরপর ময়েশ্চারাইজার বা ফুট ক্রিম লাগিয়ে নেন।
এর পাশাপাশি ফুট স্ক্রাইবার ও ফুটমার ব্যবহার করতে পারেন। , বাড়িতে বসে হাতের কাছে কিছু জরুরী জিনিস যেমন হলুদ, দই, দুধের সর, বেসন দিয়েও গোড়ালির যত্ন নিতে পারবেন। ফুড স্ক্রাবিং এর মাধ্যমে শুরু করুন পায়ের যত্ন। একটি পাত্রে উষ্ণ পানি, আধা চা চামচ নারিকেল তেল, সামান্য লবন দিয়ে দশ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন।
এবার একটা পিউমিস স্টোন দিয়ে গোড়ালি ও পায়ের পাতা ভালো করে ঘষে ময়লা তুলে নিন। পায়ের ফাটা অংশে ময়লা জমলে দু তিন চামচ চালের গুঁড়ো সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু ও ভিনেগার মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে লাগিয়ে নিন। খালি হাতে কিছুক্ষণ ঘষে ধুয়ে ফেলুন। মহিলা সহজে চলে যাবে এবং ক্রিম লাগান ফলে পা ফাটা সমস্যা কেটে যাবে।
পা ফাটা দূর করার ক্রিম এর নাম
উপরের অপরিচ্ছেদে ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় ব্যতীত বিভিন্ন মেডিসিন ব্যবহার করার মাধ্যমে অথবা ওষুধ অথবা ক্রিম ব্যবহার করার মাধ্যমে আমরা আমাদের পা ফাটা থেকে মুক্ত থাকতে পারি। ঔষধ গুলো হলোঃ
১. Ramy Pa Phata 20 ml
কার্যকারিতাঃ
যে কোনো ধরনের পা ফাটা নিরাময় করে। এ্যান্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহার করা যায় । জীবাণু নাশক। মোজা ব্যবহারে পায়ের দুর্গন্ধ দূর করে। পা ফাটা নিরাময়ে বাংলাদেশের একমাত্র এবং অদ্বিতীয় পণ্য ।সকল ঋতু/ মৌসুমে ব্যবহার করা যায়।
ব্যবহার বিধিঃ
পায়ের ফাটা জায়গাটি পরিষ্কার করে দিনে ২-৩ বার লাগাতে হবে।
২. Emolent™ Plus Cream 50gm
ইমোলেন্ট ™ প্লাস ক্রিম একটি অত্যন্ত ঘনীভূত ময়শ্চারাইজিং ক্রিম যা ব্যবহার করার জন্য নির্দেশিত হয়। শুষ্ক ত্বক প্রতিরোধ এবং উপশম। একজিমা, ডার্মাটাইটিস এবং সোরিয়াসিসের সাথে যুক্ত শুষ্ক ত্বকের সমস্যা।
ব্যবহার বিধিঃ
ইমোলেন্ট™ প্লাস ক্রিম প্রয়োজন হলে 'চাহিদা অনুযায়ী' হিসাবে ব্যবহার করা হয়। আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করুন এবং ভালভাবে ঘষুন। এটি স্নান, ঝরনা এবং কঠোর জলবায়ু পরিস্থিতিতে এবং রাতে এক্সপোজার পরে বিশেষভাবে কার্যকর।
৩. Avon Foot Works Cracked Heel Relief Cream 50ml
পুনরুদ্ধারকারী সূত্র শুষ্ক পা এবং শুষ্ক ত্বক ময়শ্চারাইজ করে। এন্টিসেপটিক ফুট ক্রিম নিরাময় করে এবং ফাটা ত্বককে মসৃণ করে।
ব্যবহার বিধিঃ
হাতে চেপে নিন এবং হিল এবং শুষ্ক ত্বকের অন্যান্য অংশে ঘষুন.
৪. Heelmate Cracked Heel Repair Specialist Cream Oinment (Pack Of 1)
ফাটা, শুষ্ক এবং বেদনাদায়ক হিল মেরামত করার জন্য চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ক্রিম সুপারিশ করেন। Heelmate® একটি জল-ভিত্তিক নন-গ্রীসি ক্রিম এবং এটি আপনার জামাকাপড় বা বিছানায় কোনো দাগ ফেলে না। 2টি উপাদান ভিতর থেকে এবং বাইরে থেকে হিল পর্যন্ত আর্দ্রতা আকর্ষণ করে। 2টি উপাদান হিল এ আর্দ্রতা লক।
4টি প্রাকৃতিক নির্যাস ফোলা কমায়, ব্যথা উপশম করে এবং গোড়ালিকে নরম করে। ফাটল, শুষ্ক এবং বেদনাদায়ক হিলকে রক্ষা করে এবং মেরামত করে এবং হিলকে আরোগ্য, নরম ও পুনরুজ্জীবিত করে। হিলমেট হল একটি জল-ভিত্তিক সূত্র যা আপনার জামাকাপড় বা বিছানায় কোনও দাগ ফেলে না এবং দিনের যে কোনও সময় প্রয়োগ করা যেতে পারে।
এই ক্রিমটিতে বিশ্বব্যাপী পডলজিস্টদের দ্বারা অনুমোদিত সেরা উপাদানগুলির একটি অনন্য মিশ্রণ রয়েছে। এই ফর্মুলেশনে প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান এবং প্রয়োজনীয় ভেষজ রয়েছে যা ত্বককে মসৃণকারী এবং ত্বক ফ্রেশনার হিসাবে কাজ করে।
ব্যবহার বিধিঃ
হালকা গরম পানি দিয়ে পা ধুয়ে পরিষ্কার করুন। একটি নরম তোয়ালে দিয়ে পা শুকিয়ে নিন। হিলমেট ক্রিম উদারভাবে হিলের উপর প্রয়োগ করুন। আলতো করে হিলগুলিতে সমানভাবে ঘষুন এবং শুকাতে দিন। প্রতিদিন দুবার পুনরাবৃত্তি করুন - সকালে স্নানের পরে এবং সন্ধ্যায় শোবার আগে। সর্বোত্তম ফলাফল পেতে ক্রিমটি আরও ভাল শোষণের জন্য প্রয়োগের পরে মোজা পরিধান করুন।
সারা বছর পা ফাটে কেন
পা বিভিন্ন কারণে ফেটে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম কারণ হলো ভিটামিনের অভাব। বিশেষত ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ত্বকের যত্নের জন্য। তাই ভিটামিন গুলোর অভাবে ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও জনশূন্যতা পা ফাটার আরো একটি কারণ।
পরিবেশের আদ্রতা কম থাকা, কম জল পান করা কিংবা শুষ্ক পরিবেশে দীর্ঘক্ষণ হাটাহাটি করলে চামড়া শুকিয়ে যায় ও পা ফেটে যায়। এছাড়াও আরো কয়েকটি কারণ আছে যেমন একজিমা রোগের কারণে পা হাঁটতে পারে।
রোগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে উৎসর্গটি দেখা যায় তাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় এট পিক ডার্মাটাইটিস। তবে এ রোগের সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত ধারণা দিতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা।
গরমে পা ফাটা দূর করার উপায়
গ্রীষ্মকালে আমরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। তবে পা ফাটা একটি সাধারণ সমস্যা। আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি ঘরোয়া উপায় নিয়ে। এখন আপনাদের জন্য পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় ছাড়াও কিভাবে গরমে পা ফাটা থেকে আমরা মুক্ত থাকতে পারি সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
স্ক্রাব করা জরুরি
- গোড়ালি থেকে ময়লা পরিষ্কার করা প্রয়োজন।
- এর জন্য স্ক্রাবার দিয়ে গোড়ালি ঘষে ময়লা পরিষ্কার করে নিন।
- এবার হিলের উপর একটি হিল বাম ব্যবহার করুন, যা হিলকে ময়েশ্চারাইজ করে।
পেট্রোলিয়াম জেলি লাগান
- ২০ মিনিটের জন্য হালকা গরম জলে পা ভিজিয়ে রাখুন, তারপরে পিউমিক স্টোন দিয়ে গোড়ালি পরিষ্কার করুন।
- রাতে ঘুমানোর সময় পায়ের গোড়ালিতে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগান।
- এতে গোড়ালির ফাটল পূরণ হবে।
অ্যালোভেরা জেল লাগান
- অ্যালোভেরা জেল ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। আপনি ফাটা গোড়ালিতে ব্যবহার করতে পারেন।
- রাতে ঘুমানোর আগে পা ভালো করে ধুয়ে নিন।
- তারপরে অ্যালো ভেরা জেল লাগিয়ে দিন।
- এতে দ্রুত কাজ করতে সাহায্য করবে।
কলার মাস্ক লাগান
- পাকা কলাও ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি পাকা কলা ম্যাশ করে ফাটা গোড়ালিতে ভালো করে লাগিয়ে নিন।
- এই ভাবে ১৫ মিনিট রেখে দিন।
- শুকানোর পর হালকা গরম জল দিয়ে পা ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খান
- গোড়ালি ফাটা রোধ করতে জিঙ্ক, ভিটামিন E, ভিটামিন C, ওমেগা-৩ এবং ভিটামিন বি৩ সমৃদ্ধ খাবার খান।
- খাদ্যতালিকায় বাদাম ও বীজও ব্যবহার করতে পারেন।
- এটি শরীরের শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে সাহায্য করে।
মাউথওয়াশ ব্যবহার করুন
- শুনতে অবাক মনে হলেও মাউথওয়াশও কিন্তু পায়ের যত্নে কার্যকর।
- বিশেষজ্ঞদের মতে, মাউথওয়াশ খুব ভালো ব্যাকটেরিয়া দূর করে। আর শুষ্ক ত্বকের জন্যেও খুব ভালো।
- তাই একবালতি জলে মাউথ ওয়াশ দিয়ে মিনিট ১৫ পা ডুবিয়ে রাখুন।
- প্রতিদিন রাতে ঘুমনোর আগে এটা করতেই পারেন।
মধুও উপকারী
- মধুর মধ্যে থাকে বেশ কিছু অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান।
- এছাড়াও মধু ত্বক নরম রাখে।
- তাই পা পরিষ্কার করে মধু লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ।
- ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ভালো উপকারও পাবেন।
নারকেল তেল রাখতে পারেন
- ত্বকের জন্য নারকেল তেল খুবই ভালো।
- ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভালো করে গোড়ালিতে লাগিয়ে নিন।
- সকালে উঠে ভালো করে ধুয়ে নিন। এক সপ্তাহে পা সেরে যাবে।
ভিনিগার
- ভিনিগারের মধ্যেও থাকে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান।
- অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খুবই ভালো।
- হাফ বালতি জলে দু চামচ ভিনিগার মিশিয়ে।
- এরপর ওর মধ্যে পা ডুবিয়ে রাখুন। উপকার পাবেন সহজেই।
পা ফাটা দূর করার ক্রিম বাংলাদেশ
পা ফাটার ক্রিম সম্পর্কে আমি এই আর্টিকেলে আলোচনা করেছি। তবুও আপনারা যদি পা ফাটা দূর করার ক্রিম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এইখানে ক্লিক করুন। আমি আশা করি আপনি সম্পূর্ণ বিস্তারিতভাবে ক্রিম সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং আপনার পায়ের পরিচর্যা নিতে পারবেন।
শীতে পা ফাটা দূর করার উপায়
শীতকালে ঠান্ডার কারণে পরিবেশের আর্দ্রতা সুস্থ থাকে এবং আমাদের আশেপাশের পরিবেশ ঠান্ডা থাকার কারণে পা ফেটে থাকে। এটি পড়বে আমি পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছে এখন আলোচনা করব শীতে উপায় সম্পর্কে।
স্ক্রাব করা জরুরিঃ গোড়ালি থেকে ময়লা পরিষ্কার করা প্রয়োজন।এর জন্য স্ক্রাবার দিয়ে গোড়ালি ঘষে ময়লা পরিষ্কার করে নিন। এবার হিলের উপর একটি হিল বাম ব্যবহার করুন, যা হিলকে ময়েশ্চারাইজ করে।
পেট্রোলিয়াম জেলি লাগানঃ ২০ মিনিটের জন্য হালকা গরম জলে পা ভিজিয়ে রাখুন, তারপরে পিউমিক স্টোন দিয়ে গোড়ালি পরিষ্কার করুন। রাতে ঘুমানোর সময় পায়ের গোড়ালিতে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগান। এতে গোড়ালির ফাটল পূরণ হবে।
অ্যালোভেরা জেল লাগানঃ অ্যালোভেরা জেল ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। আপনি ফাটা গোড়ালিতে ব্যবহার করতে পারেন। রাতে ঘুমানোর আগে পা ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপরে অ্যালো ভেরা জেল লাগিয়ে দিন। এতে দ্রুত কাজ করতে সাহায্য করবে।
কলার মাস্ক লাগানঃ পাকা কলাও ব্যবহার করা যেতে পারে।একটি পাকা কলা ম্যাশ করে ফাটা গোড়ালিতে ভালো করে লাগিয়ে নিন। এই ভাবে ১৫ মিনিট রেখে দিন। শুকানোর পর হালকা গরম জল দিয়ে পা ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খানঃ গোড়ালি ফাটা রোধ করতে জিঙ্ক, ভিটামিন E, ভিটামিন C, ওমেগা-৩ এবং ভিটামিন বি৩ সমৃদ্ধ খাবার খান। খাদ্যতালিকায় বাদাম ও বীজও ব্যবহার করতে পারেন। এটি শরীরের শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে সাহায্য করে।
মাউথওয়াশ ব্যবহার করুনঃ শুনতে অবাক মনে হলেও মাউথওয়াশও কিন্তু পায়ের যত্নে কার্যকর। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাউথওয়াশ খুব ভালো ব্যাকটেরিয়া দূর করে। আর শুষ্ক ত্বকের জন্যেও খুব ভালো। তাই একবালতি জলে মাউথ ওয়াশ দিয়ে মিনিট ১৫ পা ডুবিয়ে রাখুন। প্রতিদিন রাতে ঘুমনোর আগে এটা করতেই পারেন।
মধুও উপকারীঃ মধুর মধ্যে থাকে বেশ কিছু অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এছাড়াও মধু ত্বক নরম রাখে। তাই পা পরিষ্কার করে মধু লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ভালো উপকারও পাবেন।
নারকেল তেল রাখতে পারেনঃ ত্বকের জন্য নারকেল তেল খুবই ভালো। ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভালো করে গোড়ালিতে লাগিয়ে নিন। সকালে উঠে ভালো করে ধুয়ে নিন। এক সপ্তাহে পা সেরে যাবে।
ভিনিগারের মধ্যেও থাকে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খুবই ভালো। হাফ বালতি জলে দু চামচ ভিনিগার মিশিয়ে। এরপর ওর মধ্যে পা ডুবিয়ে রাখুন। উপকার পাবেন সহজেই।
পা ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে
বিভিন্ন সময় এবং বিভিন্ন ঋতুতে পা ফেটে থাকে। তবে ভিটামিনের অভাবের কারণে পা ফেটে থাকে। মানব শরীরে ভিটামিনের অভাবে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে তার মধ্যে অন্যতম হলো পা ফাটা।
যদিও উপরের পরিচ্ছেদে পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে তা মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি অবশ্যই পা ফাটা থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। পা ফারার কারণ যেসব ভিটামিন তা হল ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি।
শেষ কথা
ইতিমধ্যেই আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ে জেনেছেন পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় এবংপা ফাটা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে । যদি আপনি এখনো ঘরোয়া উপায় এবং পা ফাটা থেকে মুক্তির উপায় না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি পুনরায় মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এই আর্টিকেলটি আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সাথে শেয়ার করুন। আর্টিকেলটি পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত আমাদের কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানান। পরিশেষে আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শেষ করছি ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url